প্রত্যয় নিউজডেস্ক: ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ সহায়তা পাওয়ার পরপরই নিজস্ব করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন গবেষণায় সরকারের কাছ থেকে ১৯ লাখ পাউন্ড (২১ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রায়) পেয়েছে তারা। আগামী শরতেই (সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) শুরু হচ্ছে তাদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।
ক্যামব্রিজের গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের ভ্যাকসিনটি পরিচিত সবধরনের করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। এটি উচ্চ-প্রদাহজনিত বিরূপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব ভাইরাল জুয়োনোটিকস বিভাগের প্রধান জোনাথস হিনে বলেন, ‘আমরা ভাইরাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর সুরক্ষা বর্মের ফাটল খুঁজছি, যেন এটি ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাটিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত এমন একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাচ্ছি যা শুধু সার্স-কভ-২ থেকে নয়, বরং প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ানোর মতো এ ধরনের অন্যান্য করোনাভাইরাস থেকেও সুরক্ষা দেবে।’
নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কভ-২ থেকে সুরক্ষা দেয়ার মতো কোনও ভ্যাকসিনই এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সবগুলো ধাপ পার করতে পারেনি। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০টির মতো ভ্যাকসিনের বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
অনেকের চেয়ে কিছুটা দেরিতে ট্রায়াল শুরু হলেও করোনা ভ্যাকসিন লড়াইয়ে নতুন আশা দেখাচ্ছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। ডায়স-কোভ্যাক্স২ নামের সম্ভাব্য এ করোনা ভ্যাকসিনটি শীতল তাপমাত্রায় সংসরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। এমনকি প্রয়োগের জন্য সুই-সিরিঞ্জেরও দরকার পড়বে না। ফলে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন বিতরণ যথেষ্ট সহজ ও দ্রুততর হবে।
ক্যামব্রিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনটি মূলত ডিএনএ-ভিত্তিক। এটি মানবদেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি উৎপাদনে সাহায্য করবে। অতীতে অন্যান্য জীবাণুর ক্ষেত্রে ট্রায়ালে এই ডিএনএ ভেক্টর পদ্ধতি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।